জ্বর হচ্ছে, পেটে ব্যথা, সঙ্গে বমি, মাথা ধরা। এই লক্ষণ নিয়েই ‘নোরোভাইরাস’ ইংল্যান্ডে আতঙ্ক তৈরি করছে। করোনার মতোই এই ভাইরাসের অনেকটাই বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের গণস্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এই নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তাঁরা পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়েছেন, এই ভাইরাস আমেরিকায় বেশিরভাগ পেটের অসুখে ভোগা মানুষকে সচরাচর আক্রমণ করে থাকে। আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিডিসি-ও সে বিষয়ে জানিয়েছে। করোনার মধ্যে সেই কারণে ইংল্যান্ডেও আতঙ্ক বাড়াচ্ছে নোরোর।

এই রোগের ক্ষেত্রে কী ধরণের লক্ষণ দেখা যায়? চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণত এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ১২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করে শরীরে। সেই প্রভাব নাকি এক দিন থেকে তিন দিন থাকতে পারে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বারবার মলত্যাগ, পেটে ব্যথা, বমি ভাব, জ্বর, মাথা ধরা, গা ব্যথা এইগুলি।
এই রোগ ছড়ায় আক্রান্তের শরীর থেকে নির্গত ভাইরাসের দ্বারা। এ ছাড়া না ধোয়া শুকনো খাবার, দীর্ঘ দিন রেখে দেওয়া জল এবং অপরিচ্ছন্ন কোনও বস্তু থেকেও ছড়াতে পারে। একজন আক্রান্ত বাতাসে নোরোভাইরাসের কয়েকশো কোটি কণা ছড়িয়ে দিতে পারেন। যেগুলি সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে সংক্রমিত করতে পারে তাঁকে।
ছোঁয়া থেকেও নাকি এই রোগ ছড়াতে পারে। এ ছাড়া খাবার থেকে ছড়াতে পারে। ভাইরাস রয়েছে এমন কোনও বস্তুতে হাত দিয়ে সেই হাত না ধুয়ে মুখে দিলে যে কেউ সংক্রমিত হতে পারেন। আক্রান্তের সঙ্গে একই পাত্রে ভাগ করে খাবার বা জল খেলেও এই রোগ হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগের ক্ষেত্রে এই রোগ তিন দিনে সেরে গেলেও, অনেকের ক্ষেত্রে তা এক মাস পর্যন্ত শরীরে দেখা যায় রোগের লক্ষণ। অনেকের শরীরে এমন ভাবেই প্রভাব পড়ে যে, সারাজীবন এই রোগের জন্য বয়ে নিয়ে চলতে হয় স্থায়ী ক্ষত।