তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনেও আড়িপাতা হয় এই বলে সামনে এল নতুন রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে এমনও দাবি করা হয়েছে যে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট কৌশলি প্রশান্ত কিশোরের ফোনও রেহাই পাননি আড়িপাতা থেকে।

সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা ‘দ্য ওয়্যার’ দাবি করেছে, আড়িপাতা হয়েছিল অভিষেকের ব্যক্তিগত সচিবের ফোনেও। মনে করা হচ্ছে, এই তালিকায় থাকতে পারে প্রশান্ত কিশোরের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের নামও।
মনে করা হচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূলের ভোট কৌশলির হয়ে যাঁরা কাজ করেছিলেন, ওই তালিকায় রয়েছে তাঁদের অনেকের ফোন নম্বরই।
শুধু তাই নয়, রাহুল গাঁধীর ফোনেও আড়ি পাতা হয় নতুন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। রাহুলের কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল।
রবিবার থেকেই নতুন করে সামনে এসেছে এই ফোনে আড়িপাতা বিতর্ক। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে ৩০০র বেশি ফোনে মোদী সরকার এই ভাবে আড়ি পাতার চেষ্টা চালিয়েছিল বলে ‘পেগাসাস প্রোজেক্ট’ নামে একটি তদন্ত রিপোর্টে দাবি। এই তদন্ত চালিয়েছেন ভারত-সহ ১৬টি দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা মিলে। তবে সরকারের দাবি, নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপরে ভিত্তিহীন সরকারি নজরদারির অভিযোগ। যে কোনও ফোনে আড়ি পাতা, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে নজরদারিতে সরকারি অনুমতি থাকে। অর্থাৎ আইন মেনেই ফোনে আড়ি পাতা হয়।
এবার প্রথমে জানা যায়, ওই তালিকায় রয়েছে দুই মোদী সরকারেরই মন্ত্রী, বিরোধী শিবিরের তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছাড়াও সাংবিধানিক পদে আসীন এক ব্যক্তির নাম। সেই সঙ্গে ৪০ জনের বেশি সাংবাদিক অনেক ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা রয়েছেন। অনেক সমাজকর্মী থেকে সরকারি আমলা ও আইনজীবীর ফোনেও অভিযোগ উঠেছে আড়িপাতার।
এবার সেই সঙ্গে রাজ্য রাজনীতির দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম যুক্ত হল।